তোশাখানা মামলায় পাকিস্তানের তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান এবং তার স্ত্রী বুশরাকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি বিশেষ আদালত। রাষ্ট্রীয় উপহার বেআইনিভাবে গ্রহণ ও বিক্রির ফলে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতির অভিযোগে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়।

শনিবার (২০ ডিসেম্বর রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে মামলার শুনানি শেষে এ রায় দেয়া হয়। ইমরান খান এই কারাগারেই বন্দি আছেন। পাকিস্তান দণ্ডবিধির ৩৪ এবং ৪০৯ ধারার অধীনে তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

আইনজীবীরা দাবি করেছেন, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়েই আদালত রায় ঘোষণা করেছে। তবে আদালত জানিয়েছে, বিশ্বাসভঙ্গ ও দুর্নীতিবিরোধী আইনে তাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।

এই মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, সৌদি আরব সফরের সময় যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের কাছ থেকে পাওয়া মূল্যবান ঘড়ি ও উপহার রাষ্ট্রীয় নিয়ম ভেঙে কম দামে কিনেছিলেন ইমরান খান ও তার স্ত্রী।

ইমরান খান সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। তার দল পিটিআই দাবি করছে, এসব মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কারাগারে রয়েছেন ইমরান খান। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে তার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা করা হয়েছে, যা পাকিস্তানের রাজনীতিতে বড় আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।